রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১১

আবুল বাশার শেখের একগুচ্ছ কবিতা


 অপরাধী
 


 পূর্ণিমা চাঁদ অভিমান করে
 মেঘের আড়ালে হারিয়ে গেল,
 কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে
 তার প্রিয়া কাছে নেই।
 আঁধার এসে বাসা বাঁধল দুজনার মাঝে
 কারণ হিসেবে তার মন্তব্য
 সুযোগের সৎ ব্যবহার।
 এমন সময় কী কবির কলম নিরব থাকতে পারে!
 আর তাই বিরহী ভাষায় রচিত হল
 “ভালবাসা যদি অপরাধ হয়
 তবে পৃথিবী তার জন্মের জন্য সবচেয়ে বেশি অপরাধী,
 কেননা পৃথিবীর বুকেই ভালবাসার জন্ম।
 
সত্য এখন মৃত

ভালবাসার রক্ত নদী পাড়ি দিতে হবে মনের রঙিন ভেলায়,
অন্ধকার গ্রাস করার আগেই অন্ধকারকে গ্রাস করা চাই-
মুক্ত বিহঙ্গের চলার গতি দিয়ে।
সুখ পেতে কে না চায় বল, কিন্তু জনা সুখী হয়?
আঁধারকে যদি ভয় কর তবে সে তোমার ঘাড়ে এসে চাপবে,
সুরতাং ভয় বলতে কিছু থাকতে পারবে না।
মনে রাখবে সমাজ থেকে মানবতাবোধ মরে গেছে,
মানুষ এখন স্বার্থের গোলাম, ভুলে গেছেমানুষনামক শব্দটা।
সত্যের পথে যারা চলতে চায় তারা এখন বোকা
কেননা সত্য এখন এই সমাজে মৃত।
আর সত্যকে গলাটিপে হত্যা করেছে এই সমাজের মুখোসধারী
সমাজপতিরা, যারা গরীবের রক্ত চোষা হয়ে অট্টালিকার মালিক।
[আমার বাংলা একুশে ফেব্রয়ারী ০৯ সংখ্যায় প্রকাশিত।]

 
উচিৎ কথা বলতে মানা

  উচিৎ কথা বলতে মানা
 তবুও বলতে হয়
  দেশটা আম জনতার
 বুনো শুয়োরের নয়।
 রাতের আঁধারে ক্ষতি করা
 বুনো শুয়োরের ধর্ম,
 জীবনে কখনো করে দেখেনা
 ভাল কোন কর্ম।
 এদের থেকে বাঁচতে হলে
 বর্শা হাতে নিবে,
 ঠিক সময়ে আঘাত করে
 উচিৎ জবাব দিবে।
 
 মানবতার কান্ডারী

  অপরূপ মাতামহরীর বুকে
 স্বাধীনতার স্বর্ণালী সুখ
 ভোগ করার পূর্ণতা কোথায়,
 কেউ কি বলতে পার?
 অগ্নিমুখী সূর্য তেজদিপ্ত রশ্মিতে
 প্রতিনিয়ত চুমু খায়
 মাটির খরতা পবিত্র করার জন্য।
 পাহাড়ী লতার আবরনে
 ঢেকে যায় সীমানা প্রাচীর,
 নিরব হায়েনারা আঘাত হানে
 পুঞ্জিত মানবতার বুকে,
 প্রতিবাদী কন্ঠ খুঁজে পাওয়া যায় না
 অথচ আতেল মার্কা বুলি শুনি প্রতিনিয়ত।
 শেষতক হাজার পঙ্কিলতার ভিড়ে
 মানবতার কান্ডারী কি একজনও নেই?
 যার কাছে…………………………..
 কি জবাব নেই কারও মুখে?
 
 ভালবাসার জ্বালা
 

  আসল প্রেমের মূল্য এত
 জানিনা তা আগে,
 প্রেমিক মনে দুঃখ পেলে
 মরণের সাধ জাগে।
 ভালবেসে হৃদয় দিয়ে
 হৃদয় ভাঙ্গার ফল,
 সারা জীবন বয়ে বেড়ানো
 দুই চোখেতে জল।
 বুকের ভেতর আগুন জ্বলে
 মনে থাকে জ্বালা,
 ভালবাসার রঙিন সূতোয়
 শুকায় ফুলের মালা।
 যুগ জনমের বন্ধু যে জন
 সে হয় বড় আপন,
 তার কাছেতে ছুটে চলে
 গুণে ধরা এই মন।
 তাং- - - ০৯
 
  বাংলার অস্তিত্ব

  হৃদপিন্ডের রক্তে এখনও স্বাধীনতা ঢুকেনি ওদের
 যারা প্রতিনিয়ত মানবতাকে গলা টিপে হত্যা করে,
 রক্ত নিয়ে খেলে হুলী খেলা।
 হৃদপিন্ডের রক্তে এখনও স্বাধীনতা ঢুকেনি ওদের
 যারা দেশকে ভালবাসার নাম করে পায়তারা করে
 সার্বভৌমত্ব ধ্বংশের,
 যাতে বাংলার অস্তিত্ব মিশে যায়
 উত্তাল সাগরের স্রোতে।
 হৃদপিন্ডের রক্তে এখনও স্বাধীনতা ঢুকেনি ওদের
 যারা ক্ষমতার লোভে, হিংসার অনলে,
 পুড়ে মারে সাধারণ জনতার রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাকে।
 তাং- ২৩- ০৯
 
 রক্তের দাম

  দেশটা স্বাধীন, স্বাধীনতা
 বাঙালীদের ঘরে,
 তবুও কেন হরহামেশা
 মানুষ কেঁদে মরে
 আঘাত আসে মানবতায়
 বিবেক করে রুদ্ধ,
 এই কারণে হয়েছিল
 একাত্তরের যুদ্ধ!
 দেশের বিবেক বুদ্ধি নিয়ে
 করছে যারা খেলা,
 ক্ষমতার জুরে হায়েনারা
 ডুবায় তাদের ভেলা
 সাংবাদিকের রক্তের দাম
 নেই কি ওদের কাছে,
 সরকারের কি বিষয়ে
 কিছু করার আছে?
 তাং- ১৮- ০৯

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন