মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১২

আবুল বাশার শেখের নতুন কবিতা

হারিয়ে যাবো / আবুল বাশার শেখ

একদিন হয়ত হারিয়ে যাবো
সে দিন খোঁজেও কোন লাভ হবে না কেননা
কোথাও আমাকে তোমরা পাবে না।
প্রতিক্ষায় থাকি
কত দিন বাকি
........................................................

বাংলাদেশের প্রতি / আবুল বাশার শেখ

দেশ দরদীর কোনই অভাব নাই
ক্ষমতা এলেই হাতের মুঠোতে সবই ভুলে যাই,
বলতে পারেন কেমনতর দেশ দরদী ভাই
ভালবাসার সোনার মানুষ বাংলাদেশে চাই।
দেশ ভালবেসে যারা রক্ত দিল
বিনিময়ে বলতে পারেন তারা কি পেল!
মুখে নয় কাজেতে যারা দেশ দরদী
দেশ চালানোর ভার নিতে হবে তাদের,
গণতন্ত্র রক্ষা হবে দেশের মানুষ শান্তি পাবে
উন্নতি হবে এই সোনার বাংলাদেশের।
তাং- ০২-0৪-২০১২ ইং
রাত ১২ টা ৫০ মিঃ

এখন তুমি কই / আবুল বাশার শেখ

ভালবাসি এখনো তোমায়
তুমি কি আমায় ভাব,
আশা রাখি পর জনমেই
তোমাকে আমি পাব।
এখন তুমি কই
আমায় ছেড়ে,
দুঃখ আমার পাহাড় সম
বেড়ে বেড়ে।
একটিবার খোঁজ নিও
আমি কেমন আছি,
তুমি ছাড়া আমি
বেঁচে আছি না কি
মরে গেছি।

এ সমাজ / আবুল বাশার শেখ

এ সমাজ
নিজেকে চিনতে বড় দেরি করে ফেলেছি কেননা
জীবনের বাঁকে বাঁকে চাটুকারদের খপ্পরে পড়ে
রামবুধাই সাজতে হয়, মানবতাবোধ দিয়ে
এখন মানুষ মাপা হয় না, ক্ষমতা দিয়ে মাপা হয়
যার ক্ষমতা অনেক তার সম্মানও অনেক
হায়রে সমাজ কোন নীতির উপর চলছো তুমি
যে মানুষ লোক দেখানো নীতি কথা বলে
তাদের হাজার ধীক, ধীক তাদের চাপিয়ে দেয়া বস্ গিরির উপর।
যুগের হাওয়া পাল্টে গেছে
পাল্টে গেছে আধুনিক সভ্যতার খুটিনাটি।
নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করি
এ সমাজ আমাকে কি দিল?
কি দিল কলঙ্কিত মানবতা?
  তাং- ০৬ / ০৩ / ২০১২ ইং
আবুল বাশার শেখ
জামিরদিয়া, মাষ্টার বাড়ী,
ভালুকা, ময়মনসিংহ।
মোবাইল:- ০১৯১৬-৫৯৫৪৪০
ইমেইল:-basharpoet@yahoo.com

স্বাধীন মতের স্বাধীনতা / আবুল বাশার শেখ

যত সব হারামখোরের বসতি এ তল্লাটে
এখানে প্রকৃত মানবতা নিরবে নিভৃতে কাঁদে
মানুষের আচরণ বুঝা কঠিন এখানে
কঠিন মুখের ভাষা বুঝা
তারচে কঠিন চোখের ভাষা।
ওদের ত্রিমুখী চোখে শুধু সন্দেহের বসবাস
কাউকে তাদের ভালভাবে দেখতে খুব কষ্ট হয় যেন
মুখোমুখী কথা বলার ভাষা তাদের নেই
লোকচক্ষুর অন্তরালেই সারাক্ষণ থাকে
সুতরাং সাবধান, মহা সাবধান
যে কোন সময় এরা ক্ষতি করতে পারে,
এদেরকে গভীরভাবে চিনতে হবে
যেন এরা ক্ষতি করতে না পারে।
  তাং- ০৬ / ০৩ / ২০১২ ইং

কবি আবুল বাশার শেখ এর কিছু কবিতা

সারা জনম
জীবন নদীর স্রোতে ভাসমান
একা একাই আমি যে,
ঐ পাড়েতে অপেক্ষমান
বলতে কি পার তুমি কে?
ভাল লাগার কারণটা কি
প্রশ্ন করি নিজে,
মন শিকারী মানবী তুমি
বুঝবে আপন কে যে।
প্রেমে শিক্ত মন
ভালবাসায় পাগলপারা
থাকে সারাক্ষণ।
বন্ধু তুমি কাছে এসে
হাতটি আমার ধর,
সারাটি জনম বাহুডোরে
আমায় আপন কর।
তাং- ৩১-০১-২০১২ ইং
এখন সময়
যে বয়েসটা এখন আছে
দুদিন পর তা থাকবে না,
মিষ্টি প্রেমের কথা মালা
তখন ভালো লাগবেনা।
ভালো কিংবা মন্দ ভাবার
এখন সময় জানবে,
গুরুজনের কথাগুলো
মন থেকে তাই মানবে।
সৎ পথে চলতে গিয়ে
যদি বিপদ আসে,
তবুও তুমি অসহায়ের
থাকবে সদা পাশে।
নিজেকে গড় সবার আগে
বন্ধুরা যেন বাদ না যায়,
চলার পথে রাখবে স্মরণ
গুরুরা যা করেছে বারণ,
তার দিকে যদি পা বাড়াও
বিপদ আসবে সর্বদায়।
  তাং- ২০/ ০২/১২ ইং
সাধনা
জীবনটাকে রাঙাতে হলে
গভীর ভাবতে হবে,
ভাবনার সাথে বাস্তবতা
বাস্তবায়ন হবেই তবে।
আত্মকথা আঁধার রাতের
অমাবশ্যা কালো,
সত্য যদি না হয় তা
হৃদয়ে জাগে না আলো।
সত্য ভাবো সত্য লিখ
সত্যের আলো জ্বালাও,
সাধনা যদি সত্য না হয়
জীবন থেকে পালাও।
পূর্ণ জীবন কোথায় আছে
তালাশ কর নিশি,
হৃদয় সাগরে নৌকা নিয়ে
খেয়ালীপনায় ভাসি।
  তাং- ২৬ / ০২/১২ ইং
পাবার প্রবল ইচ্ছা
দূর থেকে ভালবাসি
খুব বেশি,
হৃদয়ের মাঝখানে
তুমি শশী।
কথা হয় রাত জেগে
ডাহুকের সঙ্গী,
প্রেমালাপে মত্ত হয়ে
নানা অঙ্গ ভঙ্গী।
এত কথা হয় তবু
কথার তো নেই শেষ,
ভালবাসার রঙিন স্বপ্ন
সত্যিকারে বেশ।
ভালবেসে কাছে এলে
সদা জড়িয়ে রাখবো,
মনের মানুষ তুমি শুধু
আমি তোমার থাকবো। 
তাং- ২৫ / ০২/১২ ইং
আবুল বাশার শেখ
জামিরদিয়া, মাষ্টার বাড়ী,
ভালুকা, ময়মনসিংহ।
মোবাইল:- ০১৯১৬-৫৯৫৪৪০
ইমেইল:-basharpoet@yahoo.com

বৃথা যাবে না // আবুল বাশার শেখ

তারাই হয়েছে ধন্য
রক্ত দিয়েছে রাজপথেতে
বাংলা ভাষার জন্য।
তাদের স্মরণ করি
মায়ের মুখের ভাষার তরেই
যারা গিয়েছেন মরি।
বৃথা যাবেনা কোন দিনও
তাদের আত্মদান,
সারা বিশ্বের সবাই মিলে
জানাচ্ছে সম্মান।
আবুল বাশার শেখ
০১৯১৬৫৯৫৪৪০

শান্তি পেতে / আবুল বাশার শেখ

দুজন মিলে হারাতে চাইলে
গজনী চলে যাও,
ভালবাসার পরশ জড়ানো
ময়ূর পঙ্খি নাও।
মাঝ খানে তার হিমেল হাওয়া
বসতে ভালো লাগে,
তার পাশেতে পাতাল গুহা
ভেতরে শিহরণ জাগে।
পাশা পাশি সেথায় গেলে
ভাল লাগে খুব,
কান্তি ভুলার জন্য সেথায়
দিতে পার ডুব।
বনের ভেতর রাস্তা সরু
পাখির দেখা ভার,
বড়ই, পেঁয়ারার বাগান
জুড়ি নেই কোন তার।
ঘুরতে আছে ঘোড়ার গাড়ি
ঘুরতে লাগে ভালো,
রোদের ভেতর ঘুরতে গেলে
চেহারা হবে কালো।
লাগবে ভালো তবুও
থাকলে প্রিয়জন,
ভালবাসার পরশ ভুলিয়ে
দেবে যাকে মন।
তাং- ২০ / ০২/১২ ইং

হাওয়ার তরী / আবুল বাশার শেখ

প্রেমে পড়া মন
হাওয়ার তরীতে ভাসতে পারে
জড়ায়ে সারাক্ষণ।
স্বপ্ন দেখা কাব্য লেখা
ভীষণ ভালো লাগে,
একবার দেখে সাধ মেটে না
বার বার সাধ জাগে।
পাশা পাশি হেটে চলা
হাসি মুখে কথা বলা,
আঁধার পথের আলো
বেসেছি তোমায় ভালো,
হৃদয় দোয়ারে তালা
যাবে না তোমায় ভুলা।
তাং- ২১ / ০২/১২ ইং

বাংলা আমার বাংলা

লাগলো অনেক ভালো
বাংলা ভাষার আলো,
হৃদয় হরণ করে তুমি
দূর করেছো যে কালো।
আবুল বাশার শেখ
০১৯১৬৫৯৫৪৪০

 গজনী / আবুল বাশার শেখ

মনের প্রশান্তি খোঁজে পেতে
চলেছি কজন মিলে এক সাথে
বাসন্তী সকালে কোকিলের ডাকে
সুর খোঁজে চলেছি পথের বাঁকে।
চলেছি রাস্তায় আনন্দ ভ্রমণে
রাস্তার দুপাশে প্রাকৃতিক দৃশ্য
হৃদয়ে প্রশান্তি ভরপুর
চলেছি আমরা গজনী সুদূর।
হাসি খুশি ভাগা ভাগি আনন্দ ভ্রমণে
ফিরে চলি শৈশবে বহু প্রাণ এক মনে।
জীবন রাঙানো স্বপ্ন ভেলা ভেসে চলে
একাকী দূরন্ত আপন বলয়ে কথা বলে।
দুপুরের উত্তাপ ছড়ানো রোদে
গজনীর অবকাশে গাড়িদের ভীরে
হারিয়ে গেল আমাদের আলম এশিয়া,
সাথে সাথে আমরাও হারালাম গজনীর বনে
দল বেধে ছুটছি আপন মনে।
জোড়াদের প্রিয় ভূমি এ গজনী
শোনেছি আগে তা চোখেতে দেখিনী।
আকুল করা প্রাণে চাতকের মত চেয়ে দেখি
খোদার অপরূপ সৃষ্টি গজনী অবকাশ।
বহুকাল মানুষের মনে আনন্দ দিয়ে টিকে আছে
মাথা উঁচু করে সীমান্ত ঘেষে
আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে।
তাং- ১৭ / ০২/১২ ইং

রমনী

চাঁদের আলোর সাথে
জড়ানো তোমার ছবি,
চাঁদ কুমারী চপল মেয়ে
দূর আকাশের রবি।
চোখ ফেরানো যায় না
দেখতে ভীষণ ভালো,
ভালবাসার পরশ মাখা
দুই নয়নের আলো।
মনের মানুষ তুমি যে গো
মায়াবী ফুলের কলি,
তোমায় ভাল লাগার কথা
তাই তো এবার বলি।
রাতের পাখির সাথে দেখো
আমার অনেক মিল,
ভালবাসার কাঙাল আমি
পিয়াসী গাঙচিল।
 
  তাং- ১৪/ ০২/১২ ইং

এক মন / আবুল বাশার শেখ

দূর থেকে কাছে আসা
ভাল লাগা ভালবাসা,
দুজনের চাওয়া পাওয়া
এক মন এক আশা।
জীবনের সব কথা
সুখ কিংবা দুঃখ ব্যথা,
সব কিছু ভাগাভাগি
করে নেয় যথাতথা।
ব্যক্তি বিশেষ কথা
বিলুপ্ত সারান,
এক জন বুঝে চলে
আরেক জনের মন।
স্বামী আর স্ত্রী মিলে
এই হলো সংসার,
একজন হারালেই
নেমে আসে আঁধার।
 
  তাং- ১৫/ ০২/১২ ইং

জীবন জুয়া / আবুল বাশার শেখ

ঘুম নেই রাত জেগে
ভাবছি তো ভাবছিই,
এ হৃদয়ে ভালবাসা
অনুভব করছিই।
আঁধার ঘন যে মন
ডাহুক পাখির সুরে,
কাছে থেকে যেন
ডাকছে আমারে।
জীবন নদীর তীরে
ভীরেছে যে তরী,
তার তরে এ হৃদয়
কাঁদে রাত ভরী।
স্মৃতিগুলো কাছে আসে
নিয়ে যায় পেছনে,
আমি জাগি একা একা
দুঃখ নিয়ে মনে।
 
  তাং- ১৯ / ০২/১২ ইং

মনোবাসনা / আবুল বাশার শেখ

কাহাতক এ হৃদয়ের মনোবাসনা
ভালবাসা চাই শুধু আর কিছু না।
যত দিন বেঁচে আছি তত দিন
ভালবেসে শোধে যাবো যত ঋণ।
চাতকের মত মন সদা যে ব্যকুল
অজানায় পথ চলা পেতে যে আকুল।
সাগরের গভীরতা মাপা যে কঠিন
প্রিয় জনের প্রতীায় কাটেনাতো দিন।
আকাশের মত বিশাল হৃদয় মন যার
অবাধ চলতে পারে আসে বারে বার।
 
তাং- ১৩/০২/২০১২ ইং

রক্ত মাখা ফুল / আবুল বাশার শেখ

কঠিন মনের ভালবাসা
হৃদ হরণ রক্ত রণ,
দূর থেকে কাছে আসা।
আঁধার রাতের তারা
ভালবেসে পারেনা তো
চলতে চাঁদকে ছাড়া।
পায়না তবুও কাছে
তার কাছে ভালবাসা
তবু জমা আছে।
প্রথম প্রেমের ফুল
ভালবেসে দিয়ে
করেছিলে তুমি ভুল।
পরের ফুলটি ছিল
পুরো রক্ত মাখা,
পাখির ঠোঁটে জড়ানো
ভাঙ্গা দু'টো পাখা।
স্বার্থক যে প্রেম
হৃদয় উজার স্বপ্ন রাঙা
তাকে যে দিলেম।
 
তাং- ১৩/০২/২০১২ ইং

বিশেষ দিনের ভালবাসা / আবুল বাশার শেখ

ভালবাসা দিবসে যত
উদার মনের চাওয়া,
দূর থেকে কাছে এসে
আপন করেই পাওয়া।
বিশেষ দিনের রক্ত মাঝে
কিসের কণার বাস,
দেখলে হৃদয় হবে যাবে
একেবারে হা-হুতাস।
সকল দিনেই ভালবাসে
এ দিন একটু বেশি,
হৃদয়টাকে জড়িয়ে ধরে
বলে তাই ভালবাসি।
যুবক যুবতী পাশা পাশি
হাতে হাত ধরে চলে,
হৃদয় হরণ ভালবাসা
মনের কথাই বলে।
 
  তাং- ১২/০২/২০১২ ইং

বিপিএলে মত্ত // আবুল বাশার শেখ

সোনা ফলে বাংলাদেশে
সোনার মানুষ দ্বারা,
মেরুদন্ডের অটুট শক্তি
কাজেতে লাগায় তারা।
সম্ভবনার এ বাংলাদেশ
স্বপ্ন দেখায় সফল,
বাস্তবতায় এগিয়ে আছে
বিপিএল তার ফল।
সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে
বাংলাদেশ কি পারে,
ভারত প্রীতি এখানে তুচ্ছ
আপন শক্তির দ্বারে।
বিপিএল নিয়ে মত্ত আছে
সারা বিশ্বের সবাই,
মজবুত এক ভিত্তি গড় 
এটাই আমরা চাই।
  তাং- ১১/০২/২০১২ ইং

একগুচ্ছ ছড়া কবিতা // আবুল বাশার শেখ

অপরাধী
আবুল বাশার শেখ
পূর্ণিমা চাঁদ অভিমান করে
মেঘের আড়ালে হারিয়ে গেল,
কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে
তার প্রিয়া কাছে নেই।
আঁধার এসে বাসা বাঁধল দুজনার মাঝে
কারণ হিসেবে তার মন্তব্য
সুযোগের সৎ ব্যবহার।
এমন সময় কী কবির কলম নিরব থাকতে পারে!
আর তাই বিরহী ভাষায় রচিত হল
ভালবাসা যদি অপরাধ হয়
তবে পৃথিবী তার জন্মের জন্য সবচেয়ে বেশি অপরাধী,
কেননা পৃথিবীর বুকেই ভালবাসার জন্ম।

সত্য এখন মৃত
         আবুল বাশার শেখ
ভালবাসার রক্ত নদী পাড়ি দিতে হবে মনের রঙিন ভেলায়,
অন্ধকার গ্রাস করার আগেই অন্ধকারকে গ্রাস করা চাই-
মুক্ত বিহঙ্গের চলার গতি দিয়ে।
সুখ পেতে কে না চায় বল, কিন্তু কজনা সুখী হয়?
আঁধারকে যদি ভয় কর তবে সে তোমার ঘাড়ে এসে চাপবে,
সুরতাং ভয় বলতে কিছু থাকতে পারবে না।
মনে রাখবে সমাজ থেকে মানবতাবোধ মরে গেছে,
মানুষ এখন স্বার্থের গোলাম, ভুলে গেছে মানুষনামক শব্দটা।
সত্যের পথে যারা চলতে চায় তারা এখন বোকা
কেননা সত্য এখন এই সমাজে মৃত।
আর সত্যকে গলাটিপে হত্যা করেছে এই সমাজের মুখোসধারী
সমাজপতিরা, যারা গরীবের রক্ত চোষা হয়ে অট্টালিকার মালিক।
[আমার বাংলা একুশে ফেব্রয়ারী ০৯ সংখ্যায় প্রকাশিত।]
উচিৎ কথা বলতে মানা
          আবুল বাশার শেখ
উচিৎ কথা বলতে মানা
তবুও বলতে হয়
এ দেশটা আম জনতার
বুনো শুয়োরের নয়।
রাতের আঁধারে ক্ষতি করা
বুনো শুয়োরের ধর্ম,
জীবনে কখনো করে দেখেনা
ভাল কোন কর্ম।
এদের থেকে বাঁচতে হলে
বর্শা হাতে নিবে,
ঠিক সময়ে আঘাত করে
উচিৎ জবাব দিবে।
মানবতার কান্ডারী
          আবুল বাশার শেখ
অপরূপ মাতামহরীর বুকে
স্বাধীনতার স্বর্ণালী সুখ
ভোগ করার পূর্ণতা কোথায়,
কেউ কি বলতে পার?
অগ্নিমুখী সূর্য তেজদিপ্ত রশ্মিতে
প্রতিনিয়ত চুমু খায়
মাটির খরতা পবিত্র করার জন্য।
পাহাড়ী লতার আবরনে
ঢেকে যায় সীমানা প্রাচীর,
নিরব হায়েনারা আঘাত হানে
পুঞ্জিত মানবতার বুকে,
প্রতিবাদী কন্ঠ খুঁজে পাওয়া যায় না
অথচ আতেল মার্কা বুলি শুনি প্রতিনিয়ত।
শেষতক হাজার পঙ্কিলতার ভিড়ে
মানবতার কান্ডারী কি একজনও নেই?
যার কাছে…………………………..
কি জবাব নেই কারও মুখে?
ভালবাসার জ্বালা
          আবুল বাশার শেখ
আসল প্রেমের মূল্য এত
জানিনা তা আগে,
প্রেমিক মনে দুঃখ পেলে
মরণের সাধ জাগে।
ভালবেসে হৃদয় দিয়ে
হৃদয় ভাঙ্গার ফল,
সারা জীবন বয়ে বেড়ানো
দুই চোখেতে জল।
বুকের ভেতর আগুন জ্বলে
মনে থাকে জ্বালা,
ভালবাসার রঙিন সূতোয়
শুকায় ফুলের মালা।
যুগ জনমের বন্ধু যে জন
সে হয় বড় আপন,
তার কাছেতে ছুটে চলে
গুণে ধরা এই মন।
তাং- ৭- ৩- ০৯
বাংলার অস্তিত্ব
         আবুল বাশার শেখ
হৃদপিন্ডের রক্তে এখনও স্বাধীনতা ঢুকেনি ওদের
যারা প্রতিনিয়ত মানবতাকে গলা টিপে হত্যা করে,
রক্ত নিয়ে খেলে হুলী খেলা।
হৃদপিন্ডের রক্তে এখনও স্বাধীনতা ঢুকেনি ওদের
যারা দেশকে ভালবাসার নাম করে পায়তারা করে
সার্বভৌমত্ব ধ্বংশের,
যাতে বাংলার অস্তিত্ব মিশে যায়
উত্তাল সাগরের স্রোতে।
হৃদপিন্ডের রক্তে এখনও স্বাধীনতা ঢুকেনি ওদের
যারা ক্ষমতার লোভে, হিংসার অনলে,
পুড়ে মারে সাধারণ জনতার রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাকে।
তাং- ২৩ ৩- ০৯
রক্তের দাম
         আবুল বাশার শেখ
দেশটা স্বাধীন, স্বাধীনতা
বাঙালীদের ঘরে,
তবুও কেন হরহামেশা
মানুষ কেঁদে মরে।
আঘাত আসে মানবতায়
বিবেক করে রুদ্ধ,
এই কারণে হয়েছিল
একাত্তরের যুদ্ধ!
দেশের বিবেক বুদ্ধি নিয়ে
করছে যারা খেলা,
ক্ষমতার জুরে হায়েনারা
ডুবায় তাদের ভেলা।
সাংবাদিকের রক্তের দাম
নেই কি ওদের কাছে,
সরকারের কি এ বিষয়ে
কিছু করার আছে?
তাং- ১৮ ৪- ০৯

প্রেম শুধু প্রেম // আবুল বাশার শেখ

গভীর রাতের নিস্তদ্ধতায় অমৃত সুর
মন মাঝে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে
ভাবনার স্রোতে হাবু ডুব খেতে থাকি
খুব বেশি মনে পড়ছে রমনী নগ্ন উর্ব শরীর।
আনমনে কানে কানে সুধায় আমাকে
ওগো ভালবাসা নিয়ে কাছে এসো
ভাসিয়ে নিজের অস্তিত্ব মায়াবী স্রোতে
ডুবে যেতে থাকি রমনীর নরম শরীরে।
আমি বড় বেশি অবুঝ হলাম
তার ভালবাসার স্রোতের কাছে,
ভাবতে ভালই লাগে আমার ভিতর
প্রেম শুধু প্রেম আছে।
তারিখঃ- ৪-৫-০৯

সারা বিশ্বে / আবুল বাশার শেখ

হিসাব কষা হয়না কভু
দেশটা কোথায় যাচ্ছে,
ক্ষমতা জুরে লুটেরা সব
এদিক ওদিক খাচ্ছে।
সবখানেতে চাঁদা বাজি
টেন্ডারবাজিও কমনা,
দেশজনতার শান্তি হবে
এটাও কেউ চাননা।
দেশের ভাগ্য হাতে নিয়ে
করলে এমন তর,
সারা বিশ্বে বাংলাদেশটা
কেমনে হবে বড়!

হয়ত আমিও / আবুল বাশার শেখ

একদিন আমিও বাস্তবতার যাতাকলে মিশে যাব
পিছু কেউ ডাকতেও আসবেনা
আমার গন্তব্য টেনে নেবে প্রশ্নবিদ্ধ জীবনের স্বাদ নিতে
ভাল মন্দ হিসেবের সময়ও থাকবেনা।
অন্ধ হৃদয়ের আকুতি কাউকে বলা যায় না যদিও
পর্যাপ্ত সুযোগ আছে কিন্তু বাক স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ।

এখন যা ভাবি // আবুল বাশার শেখ

খুব জানতে ইচ্ছে করে
পুরুনো দিনের কথা,
সুখ দুঃখ এক সাথে
বসত করতো যেথা।
মনে পড়ে দুজন মিলে
লুকোচুরি খেলা,
কিংবা ছোট্ট নদীর বুকে
ভাসানো রঙিন ভেলা।
পাশা পাশি বসে দুজন
গল্প হতো কত,
এসব কথা হৃদয় মাঝে
ভাসছে ছবির মত।

পাগল সমাচার // আবুল বাশার শেখ

আবোল তাবোল কথা বলে
নিজের মতের উপর চলে।
কোনটা ভাল কোনটা মন্দ
কখনও সে ভাবেনা,
খাবার সময় হয়ে গেলেও
ক্ষুধায় মাথা ঘামেনা।
পুরুনো স্মৃতি মাথায় আসে
আবার ভুলে যায়,
পরিচিত কেউ সামনে এলে
মনে আঘাত পায়।
দিন কিংবা রাতের তফাৎ
বুঝেনা সে কভু,
যেথায় খুশি সেথায় ছুটে
কান্তি আসেনা তবু।
আপন মনে গান করে
বাঁধে নতুন সুর,
আপন জগৎ আপন মনে
চলছে অনেক দূর।
তাং- ০৭/০২/২০১২ ইং

স্মৃতি কথা

পাখি ডাকা ভোরে
মনে পড়ে তোরে,
হৃদয় হরণ করে
আছিস কেন দূরে?
স্বপ্ন আশা মরে গেছে
শুধুই তোর কারণে,
যতই তুই থাকিস দূরে
তবুও আছিস মনে।
চোখের সামনে তোর চলনের
ভাসে যত ছবি,
তোর কারণেই আজকে আমি
হয়ে গেছি কবি।
কবিতা গানে ছন্দ আনে
তোর সে স্মৃতি কথা,
যখন তোকে মনে পড়ে
মনেতে লাগে ব্যথা।
তাং- ০৮/ ০২/১২ ইং

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন